খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  বাংলাদেশে শান্তি অত্যন্ত জরুরি, এটা যেন মনে রাখি: প্রধান উপদেষ্টা
  নরসিংদীতে ঈদের দিন ৪ জনকে কুপিয়ে জখম, একজনকে জবাই করার চেষ্টা

‘জাতিসংঘের রিপোর্টে ইনক্লুসিভ ইলেকশনের কথা বলে নাই’

গেজেট ডেস্ক  

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে নানামুখি বিতর্ক চলছে। বিতর্ক হচ্ছে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে তার ভূমিকা নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। এনসিপিও এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। টানটান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি অনেকটাই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে বিতর্ক না করার পক্ষেই মত দেয়। এই যখন অবস্থা, তখন তৃতীয় মাত্রার মুখোমুখি হন আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। যেখানে তিনি সেনাপ্রধানের ভূমিকা কী ছিল তা স্পষ্ট করেছেন। প্রকৃত সত্য তুলে ধরেছেন। বলেছেন, ‘‘২৪’র আন্দোলনে সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে না থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে সেনাপ্রধানের ঐতিহাসিক একটা রোল ছিল। কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা উচিত না। উনি শেখ হাসিনার নিয়োজিত সেনাপ্রধান। তিনি শেখ হাসিনার আত্মীয়। এখন এমন এক অবস্থা সবাই সবাইকে গালি দিচ্ছে। অবদানকে ছোটো করা হচ্ছে। আমার মনে হয় ওনার (সেনাপ্রধান) ২৪ নিয়ে প্রচণ্ড শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। অনেকে বলতে পারেন সেনাবাহিনী এসব কথা বলতে পারে কিনা। গণঅভ্যুত্থানের পর আর ডিফাইন রোল থাকে না অনেকের। ওনারা দু’টি বিষয়ে আগ্রহ আছে। প্রথমত কিছু হলেও যাতে সংস্কার করা হয়। আরেকটা-দেশ যেন আনস্টেবল হয়ে না পড়ে সেজন্য দ্রুত নির্বাচন দেয়ার কথা। ওনার আশঙ্কা-যতো নির্বাচন বিলম্ব হবে ততো দেশে-বিদেশি চক্রান্ত হবে। উনি আর্মিকে বেশিদিন বাইরে রাখতে চান না। ওনাকে অনেক জায়গায় যেভাবে উপস্থাপন করা হয় সেখানে অন্যায় করা হয়। ‘উইথ ডিউ রেসপেক্ট টু ওয়াকার ভাই ইনক্লুসিভ ইলেকশন এই ধরনের কথা না বললে ভালো’।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে আসিফ নজরুলের নাম উঠেছিল কিনা-এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ই আগস্ট রাত ১টার দিকে বঙ্গভবন থেকে এসে কার্জন হলের ওখানে নাহিদ, আসিফ ও মাহফুজদের সঙ্গে দেখা হয়। আমিতো ভেবেছিলাম স্যার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) প্রধান উপদেষ্টা হবেন না। তখন আমি সালেহউদ্দিন, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্যারের কথা বলেছিলাম। ৬ই আগস্ট সকাল বেলা অন্য একটা পক্ষ থেকে আলোচনা করা হয়। তারা বলেছিল-ইউনূস স্যার না হলে কে হতে পারেন। সেই তালিকাতেও আমার নাম ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টাদের নাম নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমি উপদেষ্টাদের যে কয়টা নাম বলেছিলাম তারা সেখানে কয়েকটা রেখেছে, কয়েকটা রাখে নাই। ২০ জন উপদেষ্টা যদি থাকে এরমধ্যে ১০ জনের নাম আমি বলিই নাই। আমার সঙ্গে কিংবা সালেহউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে ছাড়া ইউনূস স্যারের তেমন কারো সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। স্যারের সঙ্গে আমার ২০ বছরের ঘনিষ্ঠতা।’

‘আপনি কতটা ভারতপন্থি, কতটা ভারত বিদ্বেষী’ আসিফ নজরুলের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন উপস্থাপক। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাকে পাকিস্তানপ্রেমী বলে আমার রুমে আগুন দেয়া হয়েছিল। আমার রুমে তালা দেয়া হয়েছে। হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। রাতারাতি আমি হয়ে গেলাম ভারতের ‘দালাল’। জামিল সাহেব যখন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন তখন ২৪ ঘণ্টা প্রচারণা চলল- আমি ভারতের দালাল। তাজুল যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেলো তখন ২৪ ঘণ্টা প্রচারণা চলল-আমি পাকিস্তানের দালাল। আমি ক্লিয়ারলি বলি আমি বাংলাদেশের ‘দালাল’। আগে আমাকে কেউ অ্যাটাক করার আগে ৫০ বার ভাবতো। এখন দেখেন আপনার প্রোগ্রামে আমি আট মাস পর এসেছি। কিন্তু আগে প্রতি মাসে একবার করে আসতাম। এখন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কেউ যদি আমাকে বলে, ভাই আপনি নাকি আমেরিকা চলে গেছেন? আমি কী বলব, আমি ফোনটা কেটে দেবো। কিন্তু জবাবদিহিতা অন্য জিনিস। গালাগালি, মিথ্যাচারের উত্তর দেয়া যায় না।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে আক্রমণকারী ছিল সরকার ও সরকার দলের ক্যাডাররা। এখন মত প্রকাশের শত্রু হচ্ছে জনগণ। এখন জনগণের একটা অংশ আরেকটা অংশকে কথা বলতে দেয় না। আমাদের সরকারের সমালোচনাও হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ৪ মাসে ১৭ টা ভিডিও করা হয়েছে। ধর্যে ্যর সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে যতো বাজে কথা শুনেছি তার থেকে বেশি কথা গত সাত মাসে শুনেছি। কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে মানুষের মধ্যে নানা অস্থিরতা থাকে, অনিশ্চয়তা থাকে। অতিরিক্ত স্বাধীনতা, অতিরিক্ত চাহিদার কারণে এসব হচ্ছে। জনগণের একটা অংশ যখন আরেকটা অংশকে অ্যাটাক করছে। মব শুরু হয়েছে। এটাকে দমন করার জন্য সরকারের ব্যর্থতা থাকতে পারে, কিন্তু প্রণোদনা নেই। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একেকটা কার্ভ আছে। কখনো মনে হয় কমেছে, কখনো মনে হয় বেড়েছে। যদি পরিসংখ্যান দেখেন অপরাধ প্রবণতা কিন্তু বাড়ে নাই। অনেকক্ষেত্রে কমেছে। কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক যন্ত্রণা এতো রক্ত দেয়ার পর কেনো এটা হবে? এখন এই রোগটা বেশি অনুভূত হয়। বাংলাদেশে সবথেকে বেশি রাজনীতিকরণ করা হয়েছে পুলিশে। ঘোষণা দিয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ, ছাত্রলীগের পুলিশ নেয়া হয়েছে না! এই লোকগুলো কি রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যাবে? এটা সম্ভব না। পুলিশের আপার টায়ারের সবাই আওয়ামী লীগের।’

৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলন বিপ্লব নাকি অভ্যুত্থান-এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বলব দুটোর মাঝামাঝি। এটা অভ্যুত্থান না, গণঅভ্যুত্থান অবশ্যই কিন্তু এরমধ্যে বিপ্লবের এলিমেন্ট ছিল। কিন্তু বিপ্লব হয়নাই। হয়ত এটা আরো লিঙ্গার করলে, মানুষের মধ্যে রেজিস্টেন্স আসলে মানুষের মধ্যে একটা প্রতিরোধ আসলে তাহলে বিপ্লব হতো। এরশাদ ৯ বছরে মেরেছে ৪০ জন মানুষ। আর শেখ হাসিনা সরকার ২ সপ্তাহে মেরেছে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ। নির্মম হত্যাকারী।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী লেথাল ওয়েপন ব্যবহার করতে বলছেন। আওয়ামী লীগের সব থেকে যে ভালো নেতা সেটার পেছনেও একটা কুৎসিত নির্বাচনে নির্বাচিত। ভুলে যান আমি উপদেষ্টা। আমি মানুষ হিসেবে বলছি আওয়ামী লীগকে যদি নির্বাচনের সুযোগ দেয়া হয়, আওয়ামী লীগ আবার দেশটাকে দোযখ বানানোর চেষ্টা করবে। তার কাছে এতো টাকা আছে। সবথেকে বড় কথা তাদের মধ্যে কোনো রিমোর্টস নাই। তাদের দেশে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অন্ধ সাপোর্টার রয়েছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে ইনক্লুসিভ ইলেকশনের কথা বলে নাই। তারা বলেছে দলকে যাতে নিষিদ্ধ করা না হয়। একটা দলকে নিষিদ্ধ করা উচিত কি উচিত না তা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়ার বিষয়ে মানুষের ব্যাপক আপত্তি আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সেনাপ্রধান যদি এই বিষয়টি নিয়ে কথা না বলেন ভালো হয়। এসব নিয়ে কথা বললে সমালোচনা আসবে। বাহিনী চিফ যদি এসব বলে সমালোচকদের ইনভাইট করেন তাহলে এটা দেশের জন্য ভালো না।’

এই সরকারে কার শেয়ার কতখানি-এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রদের কাছে যেটা শুনেছি, তারা বিএনপির মতামত চেয়েছে। একজনকে তারা চেয়েছিল, কিন্তু বিএনপি থেকে অবজেকশন আসার কারণে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। আবার একজন বিএনপির কথায় আসছেও। জামায়াতের কথাতেও আসছে। বাংলাদেশে কেয়ারটেকার সরকার এতো দ্রুত গঠন হয় নাই। ৫ই আগস্টই শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে এটাইবা কতজন জানতো?’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকারের নানা কম্পোনেন্ট থাকে। যদি ইউনূস স্যারের কথা বলেন, তাহলে ১০০ ভাগ নিরপেক্ষ। ওনার ডেপথ অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং অসাধারণ। আবার আমার পরিবারের উদাহরণ দিয়ে বলি-আমার এক ভাই আওয়ামীপন্থি। আবার আমি অ্যান্টি আওয়ামী লীগ। আবার আমার আরেক ভাই ইসলামিক লাইনে ঝোঁক রয়েছে। সরকারের মধ্যেও সেটা থাকা স্বাভাবিক। কেউ আওয়ামীপন্থি নাই, কিন্তু কারও বিএনপি, জামায়াতের মধ্যে মায়া থাকতে পারে। কারো বামদের প্রতি মায়া থাকতে পারে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি সরকারের আশীর্বাদ রয়েছে কিনা-এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কেউ ছাত্রদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবে না। যদি হয় তাহলে আমি মনে করব আমার সারা জীবনের জাজমেন্ট ভুল। আমার সাথে মির্জা ফখরুল ভাইয়ের একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমাকে ফোন দিয়ে রাগারাগি করারও অধিকার আছে তার। এই ছাত্ররা নিজের জীবন বিপন্ন করে মুক্তির স্বাদ আমাদের দিয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের একটা ভালোবাসা থাকবে না! ছাত্ররা পরমর্শের জন্য এলে আমি অবশ্যই দেবো। যেকোনো দল এলেও আমি দেবো। আমি অন্তর থেকে চাই তারা একটা পরিশুদ্ধ বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলুক। ফান্ডিংয়ের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে একটা রেকর্ড গড়ে তুলুক। প্রকাশ্যে চাঁদা নাও। ভাই আমি এই দলের… বৃটেনে আমেরিকায় যেরকম হয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তিক হেল্প লাগলে এটার সঙ্গে সরকারের কাজের কোনো সম্পর্ক নাই। আমরা শেখ হাসিনার আমলে মালিকানার রাজনীতি। তারা মুক্তিযুদ্ধকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করতো। যদিও শেখ পরিবারের কেউ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল কিনা সন্দেহ আছে। আরেকটা হলো ট্যাগ দেয়ার রাজনীতি। এই প্রবণতা ছাত্রদের বা বিএনপি/জামায়াতেরও হয়তো কিছুটা আছে। আমরা ২৫/২৬ বছর বয়সে কতো ভুল করতাম। ওরাতো একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসছে। সারজিস ১০০ গাড়ি নিয়ে প্রোগ্রাম করেছে, ডা. তাসনিম জারা প্রশ্ন তুলেছে এটার ব্যাখ্যা করো। এটাওতো প্রচলিত রাজনীতিতে ছিল না। তাদের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই আমরা বেশি কষ্ট পাই। হাসনাত যে পোস্টটা করেছে, তাদের দলের তিনটা মানুষ প্রতিবাদ করেছে। এটাও নতুন চর্চা। দেখি তারা ভুল করতে করতে শেখে নাকি!’

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাহফুজ মবের বিরুদ্ধে যেভাবে অবস্থান নিয়েছে, যার কারণে নিন্দিতও হয়েছে। মাত্রাছাড়া অবস্থায় যাওয়ার পর সরকার ব্যবস্থাও নিয়েছে। বলতে পারেন প্রতিরোধের ব্যবস্থা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। ১৯৮৫ সাল থেকে সরকারকে আমি কাছ থেকে দেখছি। ১৯৮৫ সাল থেকে কোনো সরকার এতো ডিফিকাল্ট সময় পার করেনি। ফলে আমাদের ভুল হবেই। আমরা দুর্গম সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছি একটা দুর্বল জাহাজ নিয়ে। জাহাজটাকে ঠিক রাখার জন্য ড. ইউনূস সজাগ আছেন। মৌলবাদের তকমা লাগলে ওনার নিজেরও ক্ষতি হবে। দেশেরও ক্ষতি হবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে করা ‘কতদিন ক্ষমতায় থাকবেন’ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সামনের বছর রোজা, বন্যার আগে নির্বাচন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ধারণা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় নির্বাচন হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এটা ক্ষমতা না, এটা দায়িত্ব। জুলাই আগস্টের আগে খালি সমালোচনা করতাম, দোষ ধরতাম, মানুষ পাগলের মতো ভালোবাসতো। আর এখন সারাদিন কাজ করি আর সারা দিন মানুষের কাছে বকা খাই। শেখ হাসিনার আমলে মনের শান্তি ছিল না কিন্তু এই জীবনটা দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছা নাই। শেষ পর্যন্ত আমাদের সময়ের বিচারে মানুষ আমাদের ভালোবাসবে। গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের আকাশচুম্বী আকাঙ্ক্ষা থাকে। আমার ধারণা শেষ পর্যন্ত মানুষ আমাদের প্রতি এতো অখুশি থাকবে না।’

খুলনা গেজেট/জেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!